জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ এ সপ্তাহেই: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপের (পথনকশা) একটি খসড়া তৈরি করেছে ইসি সচিবালয়। কমিশনের অনুমোদনের পর এ সপ্তাহে তা প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।

আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি বলেন, ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে না। এর অর্থ এই নয় যে অতীতে যা ছিল, হুবহু এটাই রাখতে হবে, যৌক্তিক বিবেচনায় যদি বাড়ে সেটা হবে।

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ করার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত এটা ইসির আলোচনায় আসেনি। যদি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে হবে। এ মুহূর্তে ইসি ভোটকেন্দ্রের ভেতরের ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে আলোচনা করছে।

ইসি সচিব জানান, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে যেসব আপত্তি এসেছে, সেগুলো নিয়ে ২৪ আগস্ট শুনানি শুরু করা হবে। টানা চার দিন শুনানি করে এটা চূড়ান্ত করা হবে।

ইতিমধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ৮৩টি আসনের খসড়া নিয়ে দাবি ও আপত্তি পেয়েছে ইসি। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ মুহূর্তে উদ্বেগের কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই বলে মন্তব্য করেন ইসি সচিব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা তো আরও পরের ব্যাপার। আমাদের কনসার্ন হওয়ার এই মুহূর্তে কি কোনো কারণ আছে? আমরা আমাদের জিনিসটা গুছিয়ে নিচ্ছি, যে যার জায়গাটাকে গুছিয়ে নিলেই তো হয়ে যাবে। সেটা নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে আমরা এই মুহূর্তে জড়িত।’

জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ এ সপ্তাহেই: ইসি সচিব
জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ এ সপ্তাহেই: ইসি সচিব

ইসি সচিব বলেন, মাঠ প্রশাসনে যাঁরা আছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে যাঁরা আছেন, তাঁরা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করছেন। ইসির সঙ্গে একটা যোগাযোগ আছে। তিনি মনে করেন, এটা নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বেগ প্রকাশের কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই।

আরও দেখুন

পাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিলো অথবা নীরবতা: পরিবেশ উপদেষ্টা

পাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিলো অথবা নীরবতা: পরিবেশ উপদেষ্টা

পাথর লুটের ক্ষেত্রে সর্বদলীয় ঐক্য দেখা গেছে। প্রশাসনের হয় যোগসাজশ ছিলো অথবা নীরবতা ছিলো অথবা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *