ঢাকা, ১৩ আগস্ট ২০২৫ —বাংলাদেশের অন্যতম বড় ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী সম্প্রতি পুনরায় আলোচনায় এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দলটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়ে তারা আবারও দারিপাল্লা প্রতীকে ভোটের ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জুন মাসের রায়ের পর থেকেই দলটি সক্রিয় প্রচারণায় নেমে পড়ে। গত ১৯ জুলাই ঢাকায় আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে হাজারো সমর্থক অংশ নেয়, যেখানে দলীয় নেতারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংস্কার, ন্যায্য ভোট এবং ইসলামি মূল্যবোধভিত্তিক শাসনের দাবি তুলে ধরেন।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট ভোটারের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী-এর জনপ্রিয়তা কিছুটা হ্রাস পেলেও তরুণ ভোটারদের মধ্যে দলটির প্রভাব এখনও উল্লেখযোগ্য। ব্র্যাক-BIGD জুলাই ২০২৫ জরিপে দলটির সমর্থন ছিল ১০.৪%, যা অক্টোবরে ছিল ১১.৩%। তবে ২৭ বছরের নিচের ভোটারদের মধ্যে সমর্থনের হার ১২%—যা বিএনপি বা অন্যান্য অনেক দলের চেয়ে বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দলটি নিজেদের নতুনভাবে ব্র্যান্ডিং করছে “ইসলামিস্ট-লেফট” ভাবধারায়, যা প্রগতিশীল ইসলামি রাজনৈতিক এজেন্ডার মাধ্যমে তরুণদের আকৃষ্ট করার কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যদিও সার্বিক ভোটে পতন ঘটেছে, তবুও যুবসমাজে আগ্রহ ও বড় জনসমাবেশ আয়োজনের ক্ষমতা প্রমাণ করে যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী একটি কার্যকর রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে পারে।