পাথর লুটের ক্ষেত্রে সর্বদলীয় ঐক্য দেখা গেছে। প্রশাসনের হয় যোগসাজশ ছিলো অথবা নীরবতা ছিলো অথবা অতো ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না। পাথর লুটের ঘটনায় বোঝা গেছে লুটেরা শক্তির বিরুদ্ধে জনগণ দাঁড়িয়ে গেলে মানুষের শক্তিই জয়ী হয়। কথাগুলো বলেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।রো

ববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, যখন সাদা পাথর লুট ঠেকাতে ২০১১ সালে মামলা হয়, আমি করি। ২০১৯ সালে ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া ঘোষণা হয়। তার মানে হলে তখন থেকে আর কোন বাণিজ্যেক কাজ পরিচালনা হবেনা।
অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর দুই উপদেষ্টা বসে সিদ্ধান্ত নেই, পাথর যদি চুরি হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, ইজারা দেয়া নয়। ১৭টি পাথর কোয়েরিকে নিষেধ করা হলো। শুধু জাফলংয়েই ভোমা মেশিন দিয়ে পাথর তুলতে অন্তত ৬৫ জন মারা গেছে। তাদের নিয়ে কথা নেই, এখন তাদের জীবিকার কথা বলা হয়।
সরকার নীতি ঠিক করেছে। স্থানীয় প্রশাসন যখন ঠিকমতো কাজ করতে পারছেনা দেখলাম, তখন নিজেরাই গেলাম।
পাথর কতটুকু তুললো বা লুট হলো তা দেখার দায়িত্ব এই মন্ত্রণালয়ের নয় এবং এই দায় নিবনা। প্রশাসনের যোগসাজশ বা নিরাবতাও ছিল, তা না হলে এখন ফেরত আনতে পারছে কিভাবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা ভেবে দেখব। এখন যে সর্বদলীয় রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠেছে, তা ধরে রাখতে পারলে এমনটা আর হবেনা।
সিলেটে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, এবার সর্বদলীয় ঐক্যের কারণে প্রশাসনের নিশ্চয়ই যোগসাজশ ছিল। তা না হলে এখন তারা কীভাবে বের করতে পারে যে পাথরগুলো কোথায়? আবার নীরবতাও ছিল, তারা হয়তো অতটা ঝুঁকি নিতে পারছিল না।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, পাথর কতটুকু তুললো, লুট হলো, নিয়ে গেলো- এটি আমার মন্ত্রণালয়ের দেখার কথা নয়। যেহেতু আমি একজন পরিবেশ কর্মী এবং সরকারে আছি। আমি দায়িত্ব নেবো কিন্তু পাথর লুট হয়ে যাওয়ার দায়টা আমাকে দিয়েন না।
রিজওয়ানা বলেন, এখন দেখা যাচ্ছে তারা মামলা করছে, সেখানে আদৌ যারা দোষী তাদের কতটুকু তালিকাভুক্ত করছেন সেটা আমাদের দেখতে হবে।
তিনি বলেন, আমি জনগণকে ধন্যবাদ জানাই তারা তীব্র প্রতিবাদটা করেছে। যার ফলে আজ যে অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছে এতে ভবিষ্যতে পাথর লুটবার আগে দুবার চিন্তা করবে