বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশনের পথসমূহ!

 

আমেরিকা বাংলা ডেস্ক | www.americabangla.com

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র — শিক্ষা, কর্মসংস্থান, ব্যবসা কিংবা পর্যটনের জন্য প্রতি বছর হাজারো বাংলাদেশি এই দেশে ভ্রমণ বা স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ খোঁজেন। কিন্তু অনেকে এখনো জানেন না, বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের কী কী বৈধ উপায় আছে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ (Visit) এবং ইমিগ্রেশন (Immigration) — এই দুই ধরনের প্রধান পথসমূহ সম্পর্কে।

১. ভ্রমণ বা অস্থায়ী ভিসা (Non-Immigrant Visa)

এই ধরনের ভিসায় আপনি যুক্তরাষ্ট্রে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থাকতে পারেন, কিন্তু স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন না।

B-1 / B-2 ভিসা – সবচেয়ে সাধারণ ভিসা হলো B-1 (ব্যবসা) ও B-2 (পর্যটন)। ব্যবসায়িক মিটিং, কনফারেন্স, পর্যটন, আত্মীয়-স্বজন দেখা বা চিকিৎসার জন্য এই ভিসা প্রযোজ্য।ভিসা অফিসার আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, আর্থিক অবস্থা এবং দেশে ফেরার নিশ্চয়তা যাচাই করে অনুমোদন দেন।

ছাত্র ও শিক্ষামূলক ভিসা (F-1 / J-1) – যারা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা বা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে চান, তারা F-1 (Student) বা J-1 (Exchange Visitor) ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউশন থেকে I-20 বা DS-2019 ফর্ম পাওয়ার পর এই ভিসা নেওয়া সম্ভব।

কাজ ও বিশেষ দক্ষতা ভিত্তিক ভিসা (H-1B, L-1, O-1) – যারা বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন পেশাজীবী বা কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ট্রান্সফার কর্মী, তারা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।তবে এগুলো সাধারণত অস্থায়ী ও নিয়োগকর্তা-নির্ভর।

২. স্থায়ী বসবাস বা ইমিগ্রেশন (Immigrant Visa / Green Card)

এই ভিসাগুলো আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার দেয়। নিচে সবচেয়ে প্রচলিত কয়েকটি ক্যাটাগরি দেওয়া হলো।

পরিবারভিত্তিক ইমিগ্রেশন – যদি আপনার স্বামী/স্ত্রী, পিতা-মাতা বা সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হন, তাহলে তারা আপনার জন্য Family Sponsorship Petition দাখিল করতে পারেন।প্রক্রিয়াটি সাধারণত দীর্ঘ হয়, তবে এটি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পথ।

কর্মসংস্থানভিত্তিক ইমিগ্রেশন (EB-1, EB-2, EB-3)- যারা বিশেষ যোগ্যতা, উচ্চশিক্ষা বা পেশাগত দক্ষতা রাখেন, তারা কর্মসংস্থানভিত্তিক ইমিগ্রেশনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ —

  • EB-1: Extraordinary ability (বিজ্ঞানী, গবেষক, শিল্পী ইত্যাদি)
  • EB-2 NIW: National Interest Waiver (যারা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থে অবদান রাখতে পারেন)
  • EB-3: Skilled বা Professional workers

এই ভিসায় গ্রিন কার্ড পাওয়া সম্ভব, তবে প্রমাণপত্র, চাকরির অফার এবং প্রক্রিয়াগত ধাপগুলো কঠোর।

ডাইভারসিটি ভিসা (DV Lottery) – অনেক বছর বাংলাদেশ DV লটারির বাইরে থাকলেও ভবিষ্যতে পরিবর্তন হতে পারে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে যোগ্য দেশগুলোর নাগরিকরা সরাসরি গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।

আরও দেখুন

জোহরান মামদানি

বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটিতে জোহরান মামদানির জনপ্রিয়তা: নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক জাগরণ!

America Bangla Report | নিউইয়র্ক, অক্টোবর ২০২৫ নিউইয়র্ক সিটি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন Zohran Mamdani …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *