শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণ মূলত তাপমাত্রার প্রভাব। ঠাণ্ডা মৌসুমে তাপমাত্রা নেমে গেলে বাতাসের জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা কমে যায়। বাতাস হলো গ্যাসের মিশ্রণ—নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই–অক্সাইড এবং জলীয় বাষ্পসহ নানা অণু এতে ভেসে বেড়ায়। তাপমাত্রা বেশি থাকলে এই অণুগুলোর গতি দ্রুত হয়, ফলে জলীয় বাষ্প তরল থেকে গ্যাসে রূপ নিতে পারে, অর্থাৎ বাষ্পীভবনের হার বেশি থাকে।
কিন্তু শীতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় অণুগুলোর গতি ধীর হয়। এতে বাষ্পীভবনের হার কমে যায় এবং ঘনীভবন বেড়ে যায়, অর্থাৎ বাতাসের ভেতরের জলীয় বাষ্প দ্রুত তরলে রূপ নেয়। ফলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ হ্রাস পায় ও আর্দ্রতা কমে যায়।
শীতের শুষ্ক বাতাস সহজেই চারপাশের ভেজা বস্তু থেকে পানি শোষণ করতে পারে, যার ফলে কাপড় দ্রুত শুকায়। আর্দ্রতা কম থাকার কারণে মেঘ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় জলীয় বাষ্পও কম পাওয়া যায়, তাই শীতকালে বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে কম হয়। এ কারণেই শীত মৌসুমকে শুষ্ক মৌসুম বলা হয়।