সুইস পাইলট রাফায়েল ডমজান ১৫ বছর পর সৌরশক্তিচালিত বিমানের উচ্চতায় আরোহনের বিশ্বরেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়েছেন। দক্ষিণ-পশ্চিম সুইজারল্যান্ডের সিওন শহর থেকে উড্ডয়ন করে আল্পস পর্বতমালা পেরিয়ে তিনি পৌঁছান ৯ হাজার ৫২১ মিটার (৩১ হাজার ২৩৪ ফুট) উচ্চতায়। পাঁচ ঘণ্টা ৯ মিনিটের এই অভিযানে উষ্ণ বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী স্রোতও তাঁকে সহায়তা করে।
বৃহস্পতিবার জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
২০১০ সালে সুইস অ্যাভিয়েটর আন্দ্রে বোর্শবার্গের স্থাপন করা রেকর্ড তিনি ভেঙে দিলেও, নতুন এই রেকর্ড এখনো বিশ্ব এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির অপেক্ষায় রয়েছে।
সম্পূর্ণ সৌরশক্তিনির্ভর এই বিমানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হয়নি, যা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও টেকসই জ্বালানি ব্যবহারের গুরুত্বকে সামনে এনেছে।
৫৩ বছর বয়সী রাফায়েল নিজেকে ‘ইকো-এক্সপ্লোরার’ হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর লক্ষ্য প্রমাণ করা—পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি শুধু জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প নয়, বরং এর সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাঁর পরীক্ষামূলক বিমান ‘সোলারস্ট্রাটোস’-এর ২৫ মিটার দীর্ঘ ডানাজুড়ে বসানো রয়েছে সৌরকোষ। ভবিষ্যতে তিনি এ বিমান নিয়ে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার (প্রায় ২৫ হাজার মিটার) পর্যন্ত পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছেন।
দুই আসনের এ বিমান চালাতে তিনি রুশ-নির্মিত মহাকাশচারীর মতো স্যুট পরে উড়াল দেন। সফল অবতরণের পর রাফায়েল বলেন, “বছরের পর বছর প্রস্তুতির পর পাওয়া এই সাফল্যের আনন্দ আমি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি।” তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য ১০ হাজার মিটার উচ্চতায় পৌঁছানো, যেখানে সাধারণত বাণিজ্যিক বিমান চলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্জন শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের নিদর্শন নয়, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরিচ্ছন্ন শক্তিনির্ভর সমাধানের পথে একটি বড় পদক্ষেপ।