৭৪ এর দুর্ভিক্ষের সময় যে বিশাল আয়োজন করেছিল মুজিব পরিবার, ভিডিও ভাইরাল

৭৪ এর দুর্ভিক্ষের সময় যে বিশাল আয়োজন করেছিল মুজিব পরিবার, ভিডিও ভাইরাল

৭১ এর স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে যখন দেশের হালচাল ঠিক তখনই ৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হানা দেয় সদ্য স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশে। তখন অনাহারে ১০ লক্ষ মানুষ মারা যায় বলেই জানা যায় ইতিহাস থেকে। আর সে সময়ই মুজিব পরিবার ঢাকা ক্লাবে যা বর্তমানে ঢাকা লেডিস ক্লাব নামে পরিচিত সেখানে আয়োজন করে এক জাক জমক বিয়ের।

দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মরলেও, মুজিব পরিবারের বিলাসবহুল সেই আয়োজনের ভিডিও বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল। সম্ভাব্য কোন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করেছিলো। সেই ভিডিও এর তথ্যানুযায়ী, বিয়েতে অংশ নেওয়া প্রত্যেকে গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। অথচ ৩ বছর আগে তাদের কোন গাড়ি ছিলো না। সীমাহীন দুর্নীতি করে পকেটে ভরা টাকা দিয়েই তারা কিনেছিলেন এসব গাড়ি।

সেই বিয়েতে অংশ নেওয়া নারীদের দেখা যায় গহনাতে মোড়ানো। ভারী ভারী সব স্বর্ণের গয়না পড়ে এসেছিলেন একেক জন। তারা প্রত্যেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের বউ বলেও জানানো হয়। আর এই বিয়েতে সব কিছুকে ছাপিয়ে বাহারী সব দামী দামী খাবারের পসরাতো ছিলোই।

অন্যদিকে ১৯৭৪ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ চলছিল ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে। সেসময় দুর্ভিক্ষের মূল কারণ হিসেবে মুজিব সরকার দেখিয়েছিলো বন্যা। কিন্তু, ইতিহাস থেকে জানা যায়, সরকারি ত্রাণব্যবস্থার অকার্যকারিতা, তুচ্ছ ও দুর্নীতিপূর্ণ খাদ্য বিতরণ, ও আমদানিতে জটিলতা ছিলো সেই দুর্ভিক্ষের মূল কারণ। আর মুজিবের একনায়কতন্ত্র, দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার তো ছিলোই।

ভাইরাল হওয়া এই বিয়েই শুধু নয়, দেশের এত বড় একটি বিপর্যয় সামাল না দিতেই ১৯৭৫ সালে (দুর্ভিক্ষ পরের বছর) মুজিবের দুই পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামালের এক ঐশ্বর্যময় বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল গনভবনে। সেই বিয়ের আয়োজনেও নানা ধরণের বিলাসিতা করতে দেখা যায় শেখ পরিবারকে।

আরও দেখুন

প্রবাসীদের জন্য জরুরি আপডেট: এই ভুল করলেই ভিসা বাতিলের ঝুঁকি!

প্রবাসীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা: এই ভুল করলেই ভিসা বাতিলের ঝুঁকি!

আমেরিকা বাংলা ডেস্ক: আমেরিকার স্বপ্নময় মাটিতে, যেখানে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী প্রবাসী তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছেন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *