জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম শিল্পখাতের সঙ্গে সংযুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তৈরি করছে না, শুধুমাত্র পরীক্ষার্থী তৈরি করছে।”
আজ রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে উপাচার্য এ কথা বলেন। সংলাপ আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সংলাপে উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষা ও শিল্পের সংযোগ প্রায় শূন্য। তবে কেউ এ নিয়ে কথা বলেন না, কারণ দেশের বড় কোম্পানিগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পাস শিক্ষার্থীর ওপর নির্ভরশীল। তিনি অভিযোগ করেন, এসব শিক্ষার্থী দক্ষ নয়, উচ্চাকাঙ্ক্ষা কম এবং সহজে ম্যানিপুলেট করা যায়। দীর্ঘ সময় তাদের ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
পরীক্ষা পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে তিনি বলেন, পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষকরা দর্শনের কোর্সের নম্বরও ইনপুট করেন। অনার্স-মাস্টার্সের অনেক কলেজে ল্যাব নেই, তবুও রসায়ন, পদার্থ ও জীববিজ্ঞানের পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর দেওয়া হয়। অনেক কলেজে ল্যাব থাকলেও সেখানে যথাযথ কাজ হয় না।
উপাচার্য আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকার এক কলেজে তিনি দেখেছেন, শিক্ষার্থীরা মুঠোফোনে এআই ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছে, আর প্রিন্সিপাল চুপচাপ বসে চা খাচ্ছেন। তিনি জানান, দায়িত্বশীল শিক্ষক পাওয়া এখন কঠিন; ১০ জন শিক্ষকের মধ্যে তিনটি করে গ্রুপ তৈরি হয়েছে।
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।