আজ ১৫ আগস্ট, শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের একাংশের অভ্যুত্থানে তিনি নৃশংসভাবে নিহত হন। সেই ঘটনায় তার নিকটাত্মীয়সহ মোট ২৬ জন প্রাণ হারান। তবে বিদেশে থাকায় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই সংঘটিত হয়। পুরো মুক্তিযুদ্ধকাল তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরের মাথায়, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি, তিনি সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা চালু করেন। একসময় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামকারী এই নেতা বাকশালের মাধ্যমে আজীবনের জন্য নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একদলীয় শাসন, ব্যাপক দুর্নীতি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতিই ১৫ আগস্টের ঘটনার পেছনে বড় কারণ ছিল। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দেশের কোথাও তেমন কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি।
সে দিন নিহতদের মধ্যে ছিলেন—শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, ভাতিজা সজীব সেরনিয়াবাত এবং আত্মীয় রেন্টু খান।