রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে যা বললেন রিজভী

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর মৌখিক নির্দেশনা পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই নির্দেশনা পাওয়ার পর এরই মধ্যে কয়েকটি দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আবার অনেক দূতাবাস জানিয়েছে তারা ৫ আগস্টের পরপরই এসব ছবি সরিয়ে ফেলেছে।

রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে যা বললেন রিজভী
রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে যা বললেন রিজভী

কূটনৈতিক সূত্রের ভাষ্য, গত কয়েক মাস ধরে ‘জিরো পোর্ট্রেট নীতি’ বা ‘কোনো ছবি না রাখার’ সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা হয়েছে। সেই নীতি অনুসরণ করতেই সরানো হচ্ছে রাষ্ট্রপতির ছবি।

বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর প্রসঙ্গে সোমবার সাংবাদিকরা বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন ‘সরকার একটা নীতি ঘোষণা করেছে, জিরো পোর্ট্রেট নীতি। এই নীতির পরিপ্রেক্ষিতে তারা এটা করেছে, এখন আমরা জানি না এটা উচিত না অনুচিত। দলে আলোচনা করে পরে আমরা মন্তব্য করব।’

এদিকে গতকাল (১৭ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদেশে অবস্থানরত এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেছেন- ‘আমি বলতে পারি সদর দপ্তর থেকে লিখিত কোনো নির্দেশনা ছিল না। তবে ইঙ্গিতটা বোঝার দরকার আছে।এ বিষয়ে দুটি দিক রয়েছ- ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরানো হয়েছিল। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মিশনপ্রধানদের নিয়ে অনলাইনে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। যখন আমরা দেখি মন্ত্রণালয়ে কোনো ছবি নেই, তখন সেটা সংকেত দেয়। তাই রাষ্ট্রপতির ছবিও কয়েক মাস আগেই সরানো হয়েছিল।’

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, তার ধারণা অধিকাংশ মিশন কয়েক মাস আগে থেকেই একই ‘জিরো পোর্ট্রেট নীতি’ অনুসরণ করেছে।

আরও দেখুন

পাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিলো অথবা নীরবতা: পরিবেশ উপদেষ্টা

পাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিলো অথবা নীরবতা: পরিবেশ উপদেষ্টা

পাথর লুটের ক্ষেত্রে সর্বদলীয় ঐক্য দেখা গেছে। প্রশাসনের হয় যোগসাজশ ছিলো অথবা নীরবতা ছিলো অথবা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *