অ্যামেরিকা থেকে কয়েক শত ইরানিকে বিতাড়ন শুরু করেছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
অ্যামেরিকা ও ইরানের দুজন কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, বিতাড়িত ইরানিদের প্রথম দলে রয়েছেন প্রায় ৪০০ জন, যাদের মঙ্গলবার কাতারে অবতরণের কথা ছিল। সেখান থেকে বিমানে করে ইরানের এ নাগরিকদের নেওয়া হবে তেহরানে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক অ্যামেরিকার ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থাটিকে জানান, বিতাড়নের শিকার হওয়া ইরানের নাগরিকদের মধ্যে দোষী সাব্যস্ত অপরাধী এবং অবৈধভাবে অ্যামেরিকায় প্রবেশকারীরা রয়েছেন।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দ্বন্দ্বে থাকা দুই দেশের মধ্যে বিরল মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে ইরানিদের দেশে পাঠানোর বিষয়টিকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানের কর্মকর্তা কোনো ধরনের রাজনৈতিক চুক্তির বিষয়টি নাকচ করে বলেন, এটি কূটনৈতিক, রাজনৈতিক নয়।
ইরানিদের অধিকারকে সম্মান জানানোর আহ্বান
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টবিষয়ক মহাপরিচালক হোসেইন নওশাবাদি জানান, ফেডারেল সরকারের অভিবাসনবিরোধী নতুন পন্থার অংশ হিসেবে ইরানের প্রায় ৪০০ নাগরিককে বিতাড়নের পরিকল্পনা করেছে অ্যামেরিকা।
তিনি ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমকে জানান, প্রথম ধাপে তারা ইরানের ১২০ নাগরিককে বিতাড়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাদের বেশির ভাগ অ্যামেরিকায় প্রবেশ করেন মেক্সিকো দিয়ে।
নওশাবাদি ইরানের অভিবাসীদের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে অ্যামেরিকার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও জানান, ১২০ জনের দলটি দুই-এক দিনের মধ্যে ইরানে প্রবেশ করবে।
অ্যামেরিকার কর্মকর্তা জানান, লুইজিয়ানা থেকে সোমবার অ্যামেরিকার একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে কাতারের উদ্দেশে রওনা হন ইরানিরা, যাদের দোহায় পৌঁছার কথা রয়েছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে। সেখান থেকে তেহরানগামী ফ্লাইটে চড়ে স্বদেশে ফেরার কথা রয়েছে তাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রয়টার্সের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস কিংবা স্টেইট ডিপার্টমেন্ট।