প্রতিটি ফেডারেল সংস্থা নিজস্ব শাটডাউন পরিকল্পনা তৈরি করে, যা পাওয়া যায় ওএমবির পাবলিক ওয়েবসাইটে। কিছু সংস্থা মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ তাদের পরিকল্পনা প্রকাশ করেনি।
দেশে আরেকটি অর্থবছরের শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। রাত ১২টায় বুধবার হওয়ার পরই শুরু হচ্ছে নতুন অর্থবছর। এর আগে সরকারি সংস্থাগুলো চালাতে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান না হওয়ায় ফেডারেল শাটডাউন আসাও প্রায় নিশ্চিত।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী ২১ নভেম্বর নাগাদ ফেডারেল সরকারকে অর্থায়নের জন্য স্বল্পমেয়াদি একটি ব্যবস্থার পরিকল্পনা করেছেন রিপাবলিকানরা, তবে ডেমোক্র্যাটরা জোর দিয়ে বলছেন, এ ব্যবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে উদ্বেগকে আমলে নিতে হবে।
স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই দল চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে লাখো ফেডারেল কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হতে পারে। অন্য অনেকে অর্থ ছাড়াই কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
শাটডাউন শুরু ও শেষের সম্ভাব্য সময়
বর্তমানে ২০২৫ অর্থবছরের শেষ সময় মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট নাগাদ ফেডারেল সরকারকে অর্থায়ন করা হয়েছে। অর্থায়নের নতুন পরিকল্পনা ছাড়া বুধবার মধ্যরাত থেকে শাটডাউন শুরু হবে।
সরকারের যেকোনো শাটডাউনের স্থায়িত্ব নির্ভর করে প্রেসিডেন্ট সই করতে ইচ্ছুক এমন অর্থায়নের বিল পাসে কংগ্রেসের কত সময় লাগে, তার ওপর।
ফেডারেল সরকার শাটডাউনের পরিণতি
শাটডাউনের ফলে সরকারের দৈনন্দিন অনেক কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে কমে যাবে বা সম্পূর্ণভাবে স্থগিত থাকবে। অত্যাবশ্যকীয় সরকারি কিছু কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে কোন সেবা স্থগিত রাখা হবে এবং কোনগুলো চালু থাকবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একরকম স্বাধীনতা পাবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট-ওএমবির তথ্য অনুযায়ী, অত্যাবশ্যকীয় সরকারি কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যদের সুবিধা, সামরিক কর্মকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগ, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইস ও কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন-সিবিপির কর্মকাণ্ড এবং আকাশযান নিয়ন্ত্রণ।
প্রতিটি ফেডারেল সংস্থা নিজস্ব শাটডাউন পরিকল্পনা তৈরি করে, যা পাওয়া যায় ওএমবির পাবলিক ওয়েবসাইটে। কিছু সংস্থা মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ তাদের পরিকল্পনা প্রকাশ করেনি।