জনগণের রায়ে ট্রাম্পের শুল্কনীতি ফ্লপ—৭৩% আমেরিকান বলছেন দাম আরও বাড়বে!

আমেরিকা বাংলা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে জনমত ক্রমেই নেতিবাচক হয়ে উঠছে। সর্বশেষ Reuters/Ipsos জনমত জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকানদের ৭৩ শতাংশ বিশ্বাস করেন ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও বেড়ে যাবে। একই জরিপে দেখা যায়, মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন শুল্ক মূল্য কমাতে সাহায্য করবে। জরিপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ভোটারই জানান, শুল্কনীতি তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয়কে আরও চাপে ফেলছে।

এদিকে Quinnipiac University–এর জাতীয় জরিপে দেখা গেছে, ভোটারদের ৭২ শতাংশ মনে করেন শুল্ক আরোপ—বিশেষত আমদানি পণ্যের ওপর উচ্চ কর—স্বল্পমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আরও উদ্বেগজনক হলো, জরিপে অংশ নেওয়া ৫৩ শতাংশ ভোটার বিশ্বাস করেন, দীর্ঘমেয়াদেও এই নীতির নেতিবাচক প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে দুর্বল করে তুলবে।

পাশাপাশি ABC News/The Washington Post/Ipsos পরিচালিত এক গবেষণা বলছে, প্রায় ৬৫ শতাংশ আমেরিকান ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে সমর্থন করছেন না। তাঁদের মতে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় যে মূল্যস্ফীতি ও পণ্যমূল্য বৃদ্ধি দেখা গেছে, তার সঙ্গে শুল্ক আরোপের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। জরিপে বলা হয়, সাতজনের মধ্যে প্রায় দশজনই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে নতুন শুল্ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরিবারিক ব্যয় আরও বাড়াবে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, আমদানি পণ্যের ওপর উচ্চ কর আরোপের উদ্দেশ্য ছিল দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু বাস্তবে ভোক্তা-স্তরে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে। পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত ব্যয় যুক্ত হওয়ায় তা খুচরা বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে, যার চাপ সরাসরি পড়ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-আয়ের পরিবারগুলোর ওপর। ফলে শুল্কনীতি এখন রাজনৈতিকভাবেও বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।

সারাংশ হলো—যেখানে ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ককে অর্থনৈতিক শক্তি এবং দেশীয় কর্মসংস্থান রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে প্রচার করেছিল, সেখানে সর্বশেষ জনমত জরিপগুলো দেখাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। এখন দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন, শুল্ক আরোপ তাঁদের পরিবারের ব্যয় বাড়াচ্ছে এবং সামগ্রিক অর্থনীতিকে দুর্বল করে তুলছে।

আরও দেখুন

নেতিবাচক জনমত জরিপের ফলে অভিবাসন প্রয়োগ কৌশল বদলাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন!

ইমা এলিস | নিউইয়র্ক প্রতিনিধি: নেতিবাচক জনমত জরিপের চাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ (ডিএইচএস) অভিবাসন …