চীন–জাপান উত্তেজনায় ভিসা স্থগিত, রপ্তানিতে বিপর্যয়

চীন-জাপান নতুন উত্তেজনা
চীন-জাপান নতুন উত্তেজনা

মুহাম্মদ সোহেল রানাঃ চীন ও জাপানের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনা এখন চরমে পৌঁছেছে, যার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও পর্যটন খাতে। বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের অবস্থানকে কেন্দ্র করে চীন একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যা জাপানের অর্থনীতিকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সম্প্রতি পার্লামেন্টে বলেন, “চীন যদি তাইওয়ানে আক্রমণের চেষ্টা করে, তবে জাপান সামরিকভাবে জড়িত হতে পারে।” এই মন্তব্যের পরই চীন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় এবং জাপানমুখী ভ্রমণ ও বিনিময় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

চীন সরকার নিজ নাগরিকদের জাপানে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে। এর ফলে জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল হয়েছে। একইসঙ্গে জাপানের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া স্থগিত এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে বেইজিং। টোকিওভিত্তিক ট্যুর অপারেটর ‘ইস্ট জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল সার্ভিস’ জানিয়েছে, তারা বছরের বাকি সময়ের বুকিংয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ হারিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মূলত চীনা পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকে, ফলে এই নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য বড় অর্থনৈতিক ধাক্কা হয়ে এসেছে।

চীন ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জল ছাড়ার অজুহাতে জাপানের সামুদ্রিক খাদ্য আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এতে জাপানের রপ্তানি খাতেও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এই উত্তেজনার জেরে জাপানের পর্যটন খাতের শেয়ারমূল্য হ্রাস পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির জন্য পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি, যা এখন চাপে পড়েছে।

এই পরিস্থিতি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চীন–জাপান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চয়তার দিকে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা দুই পক্ষকে সংলাপ ও কূটনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও দেখুন

জেলেনস্কি বললেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা কঠিন হলেও ফলপ্রসূ

“যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা কঠিন হলেও ফলপ্রসূ”-জেলেনস্কি

মুহাম্মদ সোহেল রানাঃ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চলমান প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান …