নাগরিকত্ব প্রমাণে বাধ্য করা হলো ইলহান ওমারের ছেলেকে—আইসিই অভিযানে বিতর্ক

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমার

আমেরিকা বাংলা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমারের ছেলেকে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) এর এজেন্টরা থামিয়ে নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখাতে বাধ্য করেছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন ইলহান ওমার। তিনি জানান, তার ছেলে একজন মার্কিন নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও রাস্তায় থামিয়ে তাকে পরিচয় ও নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়।

ইলহান ওমারের বক্তব্য অনুযায়ী, তার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট দেখানোর পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনাকে তিনি “চরম উদ্বেগজনক” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি অভিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বাছাইভিত্তিক বা জাতিগত প্রোফাইলিংয়ের ইঙ্গিত বহন করে।

মার্কিন গণমাধ্যম CBS News-কে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি মিনেসোটার টুইন সিটিজ এলাকায় ঘটে। ইলহান ওমার বলেন, তার ছেলে একটি দোকান থেকে বের হওয়ার পর আইসিই এজেন্টদের দ্বারা থামানো হয় এবং সরাসরি নাগরিকত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।

এদিকে The Guardian জানায়, একই দিনে আইসিই এজেন্টরা একটি মসজিদেও প্রবেশ করেছিলেন, যেখানে ইলহান ওমারের ছেলে নামাজ আদায় করছিলেন। যদিও সেখানে কাউকে আটক করা হয়নি, তবে বিষয়টি স্থানীয় মুসলিম ও সোমালি-আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

Axios-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইলহান ওমার এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক আইসিই অভিযানের একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন এবং দাবি করেছেন—মিনেসোটায় বিশেষ করে সোমালি-আমেরিকান সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ফেডারেল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছেন।

ঘটনাটি এমন এক সময় সামনে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিবাসন আইন প্রয়োগ আরও কঠোর করা হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠন ও নাগরিক অধিকারকর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এসব অভিযানে অনেক ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকরাও হয়রানির শিকার হতে পারেন।

এ বিষয়ে আইসিইর পক্ষ থেকে এখনো বিস্তারিত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতি, নাগরিক অধিকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

আরও দেখুন

জনমত ও বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে অভিবাসন প্রয়োগ কৌশল পর্যালোচনায় ট্রাম্প প্রশাসন

আমেরিকা বাংলা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতি নিয়ে চলমান রাজনৈতিক বিতর্ক ও জনমতের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প প্রশাসন …