বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন পরীক্ষা—পুনরাবৃত্তি নাকি পরিবর্তনের সূচনা?

মুহাম্মদ সোহেল রানাঃ শেখ হাসিনার দণ্ডের পর বাংলাদেশের সামনে পরীক্ষা—পুনরাবৃত্তি নাকি পরিবর্তন? এ প্রসঙ্গে আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক যুগান্তকারী মোড় এনে দিয়েছে। ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংস দমন-পীড়নের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০২৫ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয়। এই রায় শুধু একটি রাজনৈতিক অধ্যায়ের সমাপ্তি নয়, বরং দেশের সামনে এক নতুন প্রশ্ন তুলে ধরেছে—বাংলাদেশ কি অতীতের প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে?

রায়ের প্রেক্ষাপট: শেখ হাসিনার সরকার ২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায়, যাতে ১,৪০০ জনের বেশি নিহত হন, অনেকেই ‘execution-style’ হত্যার শিকার হন। ট্রাইব্যুনাল রায়ে উল্লেখ করে, এটি ছিল “রাষ্ট্রীয় সহিংসতার একটি পরিকল্পিত ও সমন্বিত অভিযান” যার নেতৃত্বে ছিলেন হাসিনা। রায় ঘোষণার আগেই তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং বর্তমানে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে বাংলাদেশের সামনে এখন যে সকল চ্যালেঞ্জ রয়ে
প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষকে দমন, মামলা ও কারাবন্দি করার সংস্কৃতি চলে আসছে। হাসিনার দণ্ডের পর এই চক্র আবার নতুন করে শুরু হবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
গণতান্ত্রিক সংস্কার: বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হবে বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা: ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হাসিনার সরকারের একটি বড় কৃতিত্ব ছিল। এখন তাঁর অনুপস্থিতিতে সেই সম্পর্ক কীভাবে রূপ নেবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের সামনে এখন একটি ঐতিহাসিক সুযোগ—অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া”।

আরও দেখুন

ট্রাইবুন্যালে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন, ফজলুর রহমান ও জেড আই খান পান্না

ট্রাইবুন্যালে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন, ফজলুর রহমান ও জেড আই খান পান্না

আমেরিকা বাংলা ডেস্ক –  বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের …