
ওয়াশিংটন, ডিসি—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক মাদক পাচার ইস্যুতে এক কঠোর ও নজরকাড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি বলেন, যেকোনো দেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাঠানো, মাদকচক্রকে সহযোগিতা করা বা পাচারকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকে, তবে সেই দেশ “আক্রমণের মুখে পড়তে পারে।” প্রথমে Reuters এই বক্তব্য প্রকাশ করে জানায়—ট্রাম্প প্রশাসন মাদকবিরোধী লড়াইকে জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দেখছে এবং প্রয়োজনে সামরিক বিকল্পও বিবেচনায় রাখছে। একইসঙ্গে AP News এবং CNN-এর পৃথক প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকে মাদকচক্র দমনে কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিলসহ নানা ধরনের শক্তিশালী সিন্থেটিক ড্রাগের প্রবাহ বাড়ছে, যা পুলিশ, ডিইএ, এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে নতুন চাপে ফেলেছে। তদন্তে দেখা গেছে—মাদক নেটওয়ার্কগুলো আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত হয়ে কাজ করছে এবং কয়েকটি দেশের অপরাধী সংগঠন মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। ট্রাম্প এই পরিস্থিতিকে “অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর মতে, কঠোর সতর্কতা এবং দৃশ্যমান পদক্ষেপ ছাড়া মাদক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই বক্তব্য বৈশ্বিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী সহযোগিতা আগে থেকেই টানাপোড়েনে—তাদের সঙ্গে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন “জিরো টলারেন্স অ্যান্টি-ড্রাগ” নীতি অনুসরণ করছে, যেখানে প্রয়োজন হলে সামরিক অভিযান, গোপন অপারেশন এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সবই বিবেচনার অন্তর্ভুক্ত।
যদিও এখনো কোনো দেশ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে কূটনৈতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে একটি নতুন, আরও কঠোর অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। America Bangla এই বিষয়ে সবশেষ আপডেট পাঠকদের জানাতে থাকবে।
আমেরিকা বাংলা | আমেরিকার বাংলা খবর, কমিউনিটি ও বিশ্ব সংবাদ আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সর্বশেষ বাংলা খবর, কমিউনিটি সংবাদ ও বিশ্ব আপডেট।