
মুহাম্মদ সোহেল রানা, আমেরিকা বাংলা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। ২৩০ বছরের পর অবসান ঘটল পেনির উৎপাদন। ১৭৯৩ সালে যাত্রা শুরু করা ১ সেন্টের কয়েন—যা ‘পেনি’ নামে পরিচিত—এর উৎপাদন আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন মুদ্রা কর্তৃপক্ষ। ফিলাডেলফিয়ার ইউএস মিন্টে সম্প্রতি শেষ পেনিটি তৈরি করা হয়, যা মার্কিন মুদ্রা ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
শেষ পেনি তৈরি হয় ১২ নভেম্বর ২০২৫, ফিলাডেলফিয়া মিন্টে। উপস্থিত ছিলেন, ইউএস ট্রেজারি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপসচিব ডেরেক থিউরার এবং মার্কিন কোষাধ্যক্ষ ব্র্যান্ডন বিচ। “আজ আমরা পেনিকে বিদায় জানাচ্ছি,”—ঘোষণা দেন থিউরার।
একটি পেনি তৈরি করতে খরচ পড়ে প্রায় ৩.৭ সেন্ট, যা তার প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি উৎপাদন খরচ। বছরে প্রায় ৫৬ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। ইলেকট্রনিক পেমেন্টের যুগে পেনির ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে।
পেনি শুধু একটি মুদ্রা নয়, এটি আমেরিকান সংস্কৃতির অংশ ছিল। এটি ছিল ভাগ্য যাচাইয়ের ‘কয়েন টস’-এর মাধ্যম, ফোয়ারায় ইচ্ছা পূরণের প্রতীক, এবং শিশুদের প্রথম সঞ্চয়ের স্মারক। এতে খোদাই করা থাকত আব্রাহাম লিংকনের মুখাবয়ব, যা ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত এক আবেগময় স্মৃতি।
বাজারে চলমান থাকা পেনিগুলো এখনো বৈধ থাকবে। অনেক দোকান এখন থেকে নগদ লেনদেনে ৫ সেন্টের রাউন্ডিং শুরু করেছে। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের প্রতিফলন। তবে পেনির বিদায় আমেরিকানদের জন্য এক আবেগঘন মুহূর্ত, যা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমেরিকা বাংলা | আমেরিকার বাংলা খবর, কমিউনিটি ও বিশ্ব সংবাদ আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সর্বশেষ বাংলা খবর, কমিউনিটি সংবাদ ও বিশ্ব আপডেট।