আমেরিকার ভবিষ্যৎ নাগরিকত্ব প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

আমেরিকার ভবিষ্যৎ নাগরিকত্ব প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ
আমেরিকার ভবিষ্যৎ নাগরিকত্ব প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

মুহাম্মদ সোহেল রানাঃ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানুয়ারিতে একটি নির্বাহী আদেশে ঘোষণা দেন যে অবৈধভাবে বা অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অভিভাবকের সন্তানরা আর জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাবেন না। একাধিক নিম্ন আদালত এই আদেশকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে কার্যকর হতে বাধা দেয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট এখন মামলাটি শুনতে সম্মত হয়েছে।

শুনানি আগামী বসন্তে শুরু হবে এবং রায় আসতে পারে আগামী বছরের গ্রীষ্মের শুরুতে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী (১৮৬৮ সালে অনুমোদিত) বলছে—“যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে এবং এখানকার আইনের আওতাধীন, সে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।”

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, ১৪তম সংশোধনীর ভাষা “subject to the jurisdiction” আসলে সীমিত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তাদের দাবি, অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত নয়। বিরোধীদের অবস্থান: মানবাধিকার সংগঠন ও আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ সংবিধানবিরোধী এবং ১৫০ বছরের নাগরিকত্ব নীতিকে ভেঙে দেবে। তারা মনে করেন, এটি অভিবাসী পরিবারগুলোর জন্য মারাত্মক সংকট তৈরি করবে।

যদি সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের আদেশকে বৈধ ঘোষণা করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া হাজার হাজার শিশু নাগরিকত্ব হারাতে পারে। এটি অভিবাসন নীতি ও “আমেরিকান নাগরিকত্ব” ধারণার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। আদালতের রায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে বড় ধরনের আলোড়ন তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই মামলা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক বিতর্কে পরিণত হতে পারে। ১৪তম সংশোধনী মূলত গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে প্রাক্তন দাসদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে আনা হয়েছিল। এখন সেটি পুনঃব্যাখ্যার মুখে পড়েছে।

আরও দেখুন

যুক্তরাষ্ট্র কেন ভেনেজুয়েলাকে নিশানা করছে?

যুক্তরাষ্ট্র কেন ভেনেজুয়েলাকে নিশানা করছে?

মুহাম্মদ সোহেল রানাঃ যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে মূলত তেল রপ্তানি, মাদক পাচার ও …