
মুহাম্মদ সোহেল রানাঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, মাদুরো পদত্যাগ না করলে ওয়াশিংটন সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে। ট্রাম্প আরও ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা “সম্পূর্ণভাবে বন্ধ” বলে বিবেচনা করতে হবে—যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরোকে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছে। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মার্কিন সেনা মোতায়েনকে ট্রাম্প “অ্যান্টি-ড্রাগ ট্রাফিকিং ক্যাম্পেইন” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করছে, মাদুরোর শাসন ভেনেজুয়েলায় অর্থনৈতিক সংকট ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে ব্যাপক অভিবাসন সৃষ্টি করেছে, যা মার্কিন সীমান্তে চাপ বাড়াচ্ছে।
ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছেন, মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হলে প্রয়োজনে সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হবে। তিনি এও দাবি করেছেন, ভেনেজুয়েলা থেকে আসা মানব পাচার ও মাদক ব্যবসা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। মাদুরো পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের “সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন” মোকাবিলা করবেন এবং সংলাপের মাধ্যমে সমাধান চান।
লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ এই উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে অতি আক্রমণাত্মক বলে সমালোচনা করছে। ডানপন্থী মিডিয়া ও বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো ট্রাম্পের হুমকিকে সমর্থন করেছেন, এমনকি ভেনেজুয়েলা মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে বলে বিতর্কিত দাবি করেছেন।
সামরিক পদক্ষেপ নিলে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাত দেখা দিতে পারে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ হবে, যা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা বাড়াতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন বিতর্ক তৈরি করছে, বিশেষ করে মানবাধিকার ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে।
ট্রাম্পের হুমকি স্পষ্ট করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে ক্ষমতায় রাখতে চায় না। মাদক পাচার, অভিবাসন সংকট ও রাজনৈতিক চাপ—সব মিলিয়ে ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে গড়ায় নাকি কূটনৈতিক সমাধান খোঁজা হয়।
আমেরিকা বাংলা | আমেরিকার বাংলা খবর, কমিউনিটি ও বিশ্ব সংবাদ আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সর্বশেষ বাংলা খবর, কমিউনিটি সংবাদ ও বিশ্ব আপডেট।