

মুহাম্মদ সোহেল রানাঃ ৯০ বছরের পুরনো Humphrey’s Executor (1935) মামলার নজির ভেঙে দেওয়ার পথে সুপ্রিম কোর্ট। এই নজির অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট স্বাধীন সংস্থার কমিশনারদের শুধু অদক্ষতা, দায়িত্বে অবহেলা বা দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বরখাস্ত করতে পারতেন। ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তি দিয়েছে, প্রেসিডেন্টকে “কারণ ছাড়াই” বরখাস্ত করার ক্ষমতা দেওয়া উচিত, যাতে সংস্থাগুলো জনগণের কাছে আরও জবাবদিহি হয়।
মামলাটি শুরু হয় যখন ট্রাম্প ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (FTC) সদস্য রেবেকা কেলি স্লটারকে কোনো কারণ ছাড়াই বরখাস্ত করার চেষ্টা করেন। আদালতের রক্ষণশীল বিচারপতিরা প্রশ্ন তুলেছেন, স্বাধীন সংস্থার কর্মকর্তারা কেন প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবেন।
যদি সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের পক্ষে রায় দেয়, তবে FTC, Consumer Product Safety Commission, Federal Election Commission সহ এক ডজনেরও বেশি সংস্থার কাঠামো বদলে যাবে। এতে কংগ্রেসের ক্ষমতা কমে গিয়ে প্রেসিডেন্টের হাতে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আসবে। সমালোচকরা বলছেন, এটি “ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করবে” এবং স্বাধীন সংস্থাগুলো রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়বে।
এই মামলার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামোয় বড় পরিবর্তন আনতে পারে। প্রেসিডেন্টের হাতে স্বাধীন সংস্থার ওপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ আসলে তা গণতান্ত্রিক ভারসাম্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আবার ট্রাম্প শিবির বলছে, জনগণ প্রেসিডেন্টকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে, তাই সংস্থাগুলোও তার কাছে জবাবদিহি থাকা উচিত।
আমেরিকা বাংলা | আমেরিকার বাংলা খবর, কমিউনিটি ও বিশ্ব সংবাদ আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সর্বশেষ বাংলা খবর, কমিউনিটি সংবাদ ও বিশ্ব আপডেট।