ফ্লোরিডায় আবারও গর্জে উঠলো শিকারি রাইফেল: কালো ভালুকের রক্তে রঙিন বন

ফ্লোরিডায় আবারও গর্জে উঠলো শিকারি রাইফেল: কালো ভালুকের রক্তে রঙিন বন
ফ্লোরিডায় আবারও গর্জে উঠলো শিকারি রাইফেল: কালো ভালুকের রক্তে রঙিন বন

মুহাম্মদ সোহেল রানাঃ ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে এক দশক পর আবারও শুরু হয়েছে কালো ভালুক শিকার। শনিবার থেকে  শিকারীরা রাইফেল ও ক্রসবো নিয়ে রাজ্যের জলাভূমি ও বনাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তবে এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে প্রাণী অধিকার কর্মী ও পরিবেশবাদীদের তীব্র বিরোধিতা দেখা দিয়েছে।

ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশন (FWC) লটারির মাধ্যমে ১৭২টি পারমিট প্রদান করেছে। প্রতিটি পারমিটধারী সর্বোচ্চ একটি ভালুক শিকার করতে পারবে। প্রাণী অধিকার সংগঠনগুলো আদালতে মামলা করলেও জরুরি আদেশে শিকার বন্ধ হয়নি। অনেক বিরোধী নিজেই লটারিতে অংশ নিয়ে পারমিট জিতেছেন, যাতে শিকার সংখ্যা কমে আসে।

১৯৭০-এর দশকে ফ্লোরিডায় ভালুকের সংখ্যা কয়েকশ’তে নেমে গিয়েছিল। সংরক্ষণ প্রচেষ্টার ফলে বর্তমানে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪,০০০। ১৯৯৪ সালে শিকার বন্ধ করা হয়েছিল, পরে ২০১৫ সালে একবার চালু হয়েছিল। এবার দশ বছর পর আবারও শিকার অনুমোদন দেওয়া হলো।

প্রাণী অধিকার কর্মীরা বলছেন, ভালুকের সংখ্যা বাড়লেও শিকার চালু করা অমানবিক এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাদের দাবি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে প্রাণী হত্যা কোনো সমাধান নয়। অন্যদিকে FWC জানিয়েছে, নির্দিষ্ট এলাকায় ভালুকের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে শিকার অনুমোদন দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।

এই শিকারকে কেন্দ্র করে ফ্লোরিডায় জনমত বিভক্ত। একদিকে শিকারীরা এটিকে ঐতিহ্য ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে পরিবেশবাদীরা এটিকে অপ্রয়োজনীয় হত্যাযজ্ঞ বলে আখ্যা দিচ্ছেন। আদালতের মামলা চলমান থাকলেও আপাতত শিকার মৌসুম চালু রয়েছে।

আরও দেখুন

যুক্তরাষ্ট্র কেন ভেনেজুয়েলাকে নিশানা করছে?

যুক্তরাষ্ট্র কেন ভেনেজুয়েলাকে নিশানা করছে?

মুহাম্মদ সোহেল রানাঃ যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে মূলত তেল রপ্তানি, মাদক পাচার ও …