শান্তি আলোচনার ঘোরায় ভয়াবহ হামলা—রাশিয়া–ইউক্রেন সংকট নতুন মোড়ে!

আমেরিকা বাংলা ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর গতরাতে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ সমন্বিত আক্রমণগুলোর একটি চালিয়েছে। শত শত ড্রোন এবং ডজনখানেক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ইউক্রেনজুড়ে আতঙ্ক, বিস্ফোরণ ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট সৃষ্টি হয়। ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার পরপরই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা ঘটেছে এবং সে কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে, যা সাময়িকভাবে বাইরের বিদ্যুৎ সংযোগ হারায়—এ তথ্য আন্তর্জাতিক শক্তির তদারকি সংস্থা IAEA এবং Reuters-এর প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে কেন্দ্রটি স্বল্প সময়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল, যদিও পরে জরুরি লাইনের মাধ্যমে আবার বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনা হয়।

ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী জানায়, রাশিয়া গতরাতে মোট ৬৫৩টি ড্রোন ও ৫১টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে তারা ৫৮৫টি ড্রোন এবং ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। হামলা ও প্রতিরোধের এই তথ্য AP News এবং Politico তাদের রাতের আপডেটেও উল্লেখ করেছে। তবুও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন স্থানে ২৯টি লক্ষ্যে আঘাত হানা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র, রেলস্টেশন, শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে Reuters-এর খবরে জানানো হয়েছে। বিস্ফোরণে রাতজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এই হামলার মধ্যেই ফ্লোরিডায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। শান্তি আলোচনা ঘিরে Politico ও The Guardian উভয়েই জানিয়েছে—দুই পক্ষই যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে “বাস্তব অগ্রগতি” হয়েছে বলে দাবি করেছে, যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো আপসের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে রাশিয়ার প্রকৃত যুদ্ধবিরতির ইচ্ছার ওপর। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, অতিমাত্রার এই হামলা এবং পরমাণু স্থাপনায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

আরও দেখুন

নেতিবাচক জনমত জরিপের ফলে অভিবাসন প্রয়োগ কৌশল বদলাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন!

ইমা এলিস | নিউইয়র্ক প্রতিনিধি: নেতিবাচক জনমত জরিপের চাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ (ডিএইচএস) অভিবাসন …