ট্রাম্পের নির্বাহী ক্ষমতা বিস্তার—৯০ বছরের পুরোনো রায় চ্যালেঞ্জের মুখে!

আমেরিকা বাংলা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা বিস্তারের বিষয়ে আবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি শুরু করেছে, যা দেশজুড়ে নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করেছে। মামলাটি ঘিরে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ১৯৩৫ সালের ঐতিহাসিক Humphrey’s Executor রায়—যেখানে বলা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট স্বাধীন সংস্থার প্রধানদের “বিনা কারণে” অপসারণ করতে পারবেন না। এই রায়ে ভর করেই দীর্ঘ নয় দশক ধরে মার্কিন প্রশাসন ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রেখেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে এই সীমাবদ্ধতা সরিয়ে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরও প্রসারিত করার দাবি জানিয়ে আসছেন। তিনি ইতোমধ্যে ফেডারেল ট্রেড কমিশন (FTC) সহ বেশ কয়েকটি স্বাধীন সংস্থার কর্মকর্তাকে কারণ ছাড়াই অপসারণ করেছেন, যা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় এবং শেষ পর্যন্ত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়।

সুপ্রিম কোর্টে সোমবার শুরু হওয়া শুনানিতে বিচারপতিদের প্রশ্ন ও মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আদালতের রক্ষণশীল বিচারপতিরা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থী বিচারপতি এলেনা কাগানও বলেছেন যে আদালতে রক্ষণশীলরা “এই পদক্ষেপ নিতে উদগ্রীব”—যা পরিস্থিতির গুরুত্ব আরও পরিষ্কার করে। যদি আদালত ১৯৩৫ সালের Humphrey’s Executor রায়কে বাতিল বা দুর্বল করে, তবে প্রেসিডেন্ট স্বাধীন সংস্থার প্রধানদের যেকোনো সময়, যেকোনো কারণে অপসারণ করতে পারবেন। এতে নির্বাহী শাখার কর্তৃত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, তবে স্বাধীন সংস্থাগুলোর স্বায়ত্তশাসন দুর্বল হয়ে পড়বে। সমালোচকরা সতর্ক করছেন যে এটি ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করবে এবং প্রশাসনিক স্বাধীনতা বিপন্ন করবে। অন্যদিকে ট্রাম্পপন্থীদের মত—এতে নীতি বাস্তবায়ন দ্রুত হবে এবং প্রশাসনিক জটিলতা কমে আসবে।

মামলাটির চূড়ান্ত রায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামোয় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস হবে কিনা—সেটি এখন সম্পূর্ণভাবে সুপ্রিম কোর্টের ওপর নির্ভর করছে।

আরও দেখুন

নেতিবাচক জনমত জরিপের ফলে অভিবাসন প্রয়োগ কৌশল বদলাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন!

ইমা এলিস | নিউইয়র্ক প্রতিনিধি: নেতিবাচক জনমত জরিপের চাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ (ডিএইচএস) অভিবাসন …